Class 9 Life Science Model Activity Task Part 8 Combined Answer | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ 2023

Class 9 Life Science Model Activity Task Part 8 Combined Answer  | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮

Class 9 Life Science Model Activity Task Part 8 Combined Answer : আপনি যদি একজন ছাত্র হন তবে আজকের নিবন্ধটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে কারণ আজকে আমরা এই পোস্টে বিনামূল্যে নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ নিয়ে এসেছি আপনি এই পোস্ট থেকে Class 9 Life Science Model Activity Task Part 8 এবং বিভিন্ন অধ্যয়ন সামগ্রী দেখতে এবং পড়তে পারবেন।

আপনি যদি নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ প্রশ্ন এবং উত্তর দেখতে এবং পড়তে চান তাহলে নিচের দিকে Scroll Down করুন। যা আপনার পথে আসা সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাজে লাগবে এবং যদি আপনি এই পৃষ্ঠাটি দরকারী বলে মনে করেন তবে এটি ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।

Model Activity Task Class 9 Part 8 Life Science Overview

নীচে আপনি সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য পাবেন। সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ অতিরিক্ত বিবরণের জন্য, নীচের টেবিলটি দেখুন।

Class 9
Subject Life Science
Category Activity Task Class 9 Part 8 Life Science
Official Website https://govtjobcenter.in
Join Telegram Group Click Here
Watch On YouTube Click Here
Class 9 Life Science Model Activity Task Part 8 Combined Answer  | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮

Class 9 Life Science Model Activity Task Part 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮

জীবন বিজ্ঞান (পূর্ণমান ৫০)

নবম শ্রেণী

Class 9 Life Science Model Activity Task Part 8 Solution

১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে

.১ যে পর্বের প্রাণীদের মধ্যে কোলােব্লাস্ট কোষ দেখা যায় তা শনাক্ত করাে—

(ক) নিমাটোডা 

(খ) নিডারিয়া 

(গ) টিনােফোরা

(ঘ) মােলাস্কা 

উত্তর:(গ) টিনােফোরা

১.২ নীচের বক্তব্যগুলি পড়াে এবং সঠিক বক্তব্যটি চিহ্নিত করাে—

(ক) কনড্রিকথিস শ্রেণির অন্তর্গত প্রাণীদের অন্তঃকঙ্কাল অস্থি দিয়ে তৈরি 

(খ) টেরিডােফাইটার প্রধান উদ্ভিদদেহটি লিঙ্গধর 

(গ) মােলাস্কা পর্বের অন্তর্গত প্রাণীদের দেহ খণ্ডিত 

(ঘ) ব্যক্তবীজীর প্রধান উদ্ভিদদেহটি রেণুধর 

উত্তর: (ঘ) ব্যক্তবীজীর প্রধান উদ্ভিদদেহটি রেণুধর 

১.৩ যে জোড়টি সঠিক নয় সেটি নির্বাচন করাে

(ক) প্যারেনকাইমা কলা – কোষান্তর র উপস্থিত 

(খ) আবরণী কলা – ভিত্তিপর্দা উপস্থিত 

(গ) ফ্লেরেনকাইমা কলা— জীবিত কোষ উপস্থিত 

(ঘ) স্নায়ুকলা – স্নায়ুকোষ এবং নিউরােগ্লিয়া উপস্থিত

উত্তর: (গ) ফ্লেরেনকাইমা কলা— জীবিত কোষ উপস্থিত 

.৪ যে জোড়টি সঠিক নয় সেটি নির্বাচন করাে —

(ক) ফোটোফসফোরাইলেশন – ATP সংশ্লেষ

(খ) গ্লাইকোলাইসিস – পাইরুভেট সংশ্লেষ 

(গ) ক্রেবস চক্র – সাইট্রিক অ্যাসিড সংশ্লেষ

(ঘ) অরনিথিন চক্র – অ্যামােনিয়া সংশ্লেষ 

উত্তর: (ঘ) অরনিথিন চক্র – অ্যামােনিয়া সংশ্লেষ 

১.৫ সঠিক বক্তব্যটি নিরূপণ করাে—

(ক) লােহিত রক্তকণিকা ফ্যাগােসাইটোসিস পদ্ধতিতে রােগজীবাণু ধ্বংসে সাহায্য করে

(খ) বেসােফিল হিস্টামিন শােষণ করে অ্যালার্জি প্রতিরােধে সাহায্য করে 

(গ) লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে রােগ প্রতিরােধে সাহায্য করে 

(ঘ) ইওসিনােফিল হেপারিন নিঃসরণ করে রক্তবাহে রক্ততঞ্চন রােধে সাহায্য করে

উত্তর: (গ) লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে রােগ প্রতিরােধে সাহায্য করে 

১.৬ প্রজাপতির রেচন অঙ্গটি চিহ্নিত করাে —

(ক) নেফ্রিডিয়া 

(খ) ম্যালপিজিয়ান নালিকা 

(গ) ফ্লেমকোষ 

(ঘ) বৃক্ক 

উত্তর: (খ) ম্যালপিজিয়ান নালিকা 

১.৭ বাষ্পমােচন সংক্রান্ত সঠিক বক্তব্যটি নিরূপণ করাে—

(ক) বায়ুর আপেক্ষিক আদ্রর্তা হ্রাস পেলে বাম্পমােচনের হার হ্রাস পায় 

(খ) বায়ুপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলে বাষ্পমােচনের হার বৃদ্ধি পায় 

(গ) আলাের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে বাষ্পমােচনের হার হ্রাস পায়

(ঘ) পরিবেশের তাপমাত্রা হ্রাস পেলে বাষ্পমােচনের হার বৃদ্ধি পায়

উত্তর: (খ) বায়ুপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলে বাষ্পমােচনের হার বৃদ্ধি পায় 

১.৮ নীচের যে জোড়টি সঠিক তা স্থির করাে—

(ক) সালােকসংশ্লেষের আলােক-নির্ভর দশা- ক্লোরােপ্লাস্টের স্ট্রোমা 

(খ) গ্লাইকোলাইসিস – কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া 

(গ) রসের উৎস্রোত – জাইলেম কলা 

(ঘ) সালােকসংশ্লেষের আলােক-নিরপেক্ষ দশা ক্লোরােপ্লাস্টের গ্রানা

উত্তর: (গ) রসের উৎস্রোত – জাইলেম কলা 

১.৯ নীচের যে বিশেষ সংযােগী কলাকে ‘রিজার্ভ পেসমেকার’ বলা হয় সেটিকে শনাক্ত করাে—

(ক) SA নােড 

(খ) পারকিনজি তন্তু 

(গ) হিজের বান্ডিল 

(ঘ) AV নােড

উত্তর: (ক) SA নােড 

২. নীচের বাক্যগুলাের শূন্যস্থানগুলােতে উপযুক্ত শব্দ বসাও

২.১ সূর্যালােকের __________ কণা শােষণ করে ক্লোরােফিল সক্রিয় হয়। 

উত্তর: সূর্যালােকের ফোটন কণা কণা শােষণ করে ক্লোরােফিল সক্রিয় হয়। 

২.২ A গ্রুপের ব্যক্তির রক্তে __________ অ্যাগুটিনিন থাকে। 

উত্তর: A গ্রুপের ব্যক্তির রক্তে অ্যান্টি B বা β অ্যাগুটিনিন থাকে। 

২.৩ পেঁপে গাছের তরুক্ষীরে __________ নামক উৎসেচক থাকে যা প্রােটিন পরিপাকে সাহায্য করে।

উত্তর: পেঁপে গাছের তরুক্ষীরে প্যাপাইন নামক উৎসেচক থাকে যা প্রােটিন পরিপাকে সাহায্য করে।

৩. নীচের বাক্যগুলাে সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করাে

৩.১ নানা জৈব অণু মিশ্রিত সমুদ্রের গরম জলকে বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স ‘হট ডাইলিউট সুপ’ নামে অভিহিত করেন। 

উত্তর: মিথ্যা 

৩.২ প্রােটিস্টা জাতীয় জীবদের কোষ প্রােক্যারিওটিক প্রকৃতির।

উত্তর: মিথ্যা 

.৩ নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার, পেন্টোজ শর্করা ও ফসফেট মূলক নিয়ে নিউক্লিওটাইড গঠিত। 

উত্তর: সত্য 

৪. A- স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B-স্তম্ভে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখাে
A-স্তম্ভ B-স্তম্ভ
৪.১ অ্যাথেরােস্ক্রেরােসিস (a) ট্র্যাকিয়া
৪.২ পতঙ্গ (b) রক্ষীকোষ
৪.৩ পত্ররন্দ্র (c) বিপাকীয় সমস্যাজনিত রােগ
  (d) ফুলকা

উত্তর:

A-স্তম্ভ B-স্তম্ভ
৪.১ অ্যাথেরােস্ক্রেরােসিস (c) বিপাকীয় সমস্যাজনিত রােগ
৪.২ পতঙ্গ (a) ট্র্যাকিয়া
৪.৩ পত্ররন্দ্র (b) রক্ষীকোষ
   
৫. একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও

৫.১ ভাজক কলার একটি কাজ উল্লেখ করাে। 

উত্তর: (i) এই কলার কোষ গুলি ক্রমাগত মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটায়। 

(ii) ভাজক কলার কোষ থেকে স্থায়ী কলার উৎপত্তি ঘটে।

৫.২ বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখাে : পেপসিন, লাইপেজ, ট্রিপসিন, ইরেপসিন 

উত্তর: লাইপেজ।

৫.৩ নীচে সম্পর্কযুক্ত একটি শব্দ জোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :

নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থ : কুইনাইন :: নাইট্রোজেনবিহীন রেচন পদার্থ : ________

উত্তর: গদ

৬. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও

৬.১ “এই পর্বের প্রাণীদের দেহ আংটির মতাে ছােটো ছােটো খণ্ডক নিয়ে গঠিত”– পর্বটির নাম ও একটি বৈশিষ্ট্য

লেখাে। 

উত্তর: পর্বটির নাম অ্যানিলিডা। অ্যানিলিডা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য সীটা বা প্যারাপডিয়ার সাহায্যে চলাফের করে। নেফ্রিডিয়ার সাহায্যে রেচন কার্য চালায় যেমন – নেরিস, কেঁচো ।

৬.২ এন্ডােপ্লাজমীয় জালিকার দুটি কাজ উল্লেখ করাে। 

উত্তর: এন্ডােপ্লাজমিক জালিকার তিনটি কাজ নিম্নরূপ – 

১) সাইটোপ্লাজম এর কাঠামাে গঠন করে কোষের আয়তন বৃদ্ধি 

২) রাসায়নিক অনুর পরিবহন। 

৩) নিউক্লিয় আবরণী সৃষ্টি করে বিভিন্ন পদার্থের পৃথকীকরণ অমসৃণ অনুগুলির পরােক্ষভাবে প্রােটিন সংশ্লেষে সহায়তা করে।

৬.৩ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পরজীবীয় ও মিথােজীবীয় পুষ্টির দুটি পার্থক্য উল্লেখ করা। 

উত্তর: 

পরজীবীয় পুষ্টি  মিথােজীবীয় পুষ্টি 
১. পুষ্টির জন্য সজীব পােশাকের ওপর নির্ভরশীল । ১. পুষ্টির জন্য সহাবস্থান কারী দুটি ভিন্ন রকমের জীব পরস্পর নির্ভরশীল।
২. এরা পােষকের ক্ষতি করে নিজেরা উপকৃত হয় । ২. এক্ষেত্রে উভয় জিবি পরস্পরের দ্বারা উপকৃত হয়, কেউ কারাে ক্ষতি ।করে না।
৩. উদাহরণ: স্বর্ণলতা কৃমি । ৩. উদাহরণ: লাইকেন ।

৬.৪ সৌরশক্তির আবদ্ধকরণ ও রূপান্তরে সালােকসংশ্লেষের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: সৌর শক্তির আবদ্ধকরণ ও রূপান্তরে সালােকসংশ্লেষ এর ভূমিকা সূর্য হল সকল শক্তির মূল উৎস। একমাত্র সবুজ, কিছু সবুজ শৈবাল ও ক্লোরােফিল বিশিষ্ট জীব-ই পারে সৌরশক্তি কে আবদ্ধ করে বিভিন্ন জৈবনিক কাজে ব্যবহার করতে। সালােকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদরা সৌরশক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করে এবং ATP (অ্যাডিনােসিন ট্রাইফসফেট) অণুর মধ্যে তা স্থৈতিক শক্তিরুপে আবদ্ধ করে। পরে সেই শক্তি উৎপন্ন খাদ্য (C6H12O6) -এর মধ্যে সঞ্চিত হয়। সমস্ত প্রাণীকুল সবুজ উদ্ভিদদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খাদ্যের মাধ্যমে শক্তি সংগ্রহ করে অর্থাৎ গৃহীত খাদ্য উপস্থিত স্থৈতিক শক্তি প্রাণীদের দেহে শ্বসন প্রক্রিয়ায় ভেঙে শক্তি উৎপন্ন করে। এইভাবে সালােকসংশ্লেষ কারী সবুজ উদ্ভিদরাই প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর শক্তির যােগান দেয় সৌর শক্তির আবদ্ধকরণ ও রূপান্তরের মাধ্যমে।

৬.৫ মুখবিবরে কীভাবে শর্করাজাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয় তা বিশ্লেষণ করাে। 

উত্তর: মুখবিবরে শর্করা জাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয় চবর্ণ বা ম্যাস্টিকেশন পদ্ধতিতে। পদ্ধতিটি হলাে, – 

মুখবিবরে খাদ্যবস্তু গৃহীত হলে খাদ্যকে ভালাে করে চবর্ণ করতে হয়, ফলে খাদ্য বস্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে পরিণত হয়। চবর্ণকালে খাদ্যের সঙ্গে লালা মিশ্রিত হয়, লালারসে উপস্থিত উৎসেচকে টায়ালিন সেদ্ধ শ্বেতসারকে মলটোজে পরিণত করে। খাদ্যের কণা যত সূক্ষ্ম হবে ততই তার পরিপাক সহজ হবে। অর্থাৎ উৎসেচকের সঙ্গে খাদ্যের বিক্রিয়া ঘটবে, এরপর চবিত ও লালা মিশ্রিত খাদ্য বস্তু গলাধঃকরণ হলে খাদ্য পৌষ্টিক নালির বিভিন্ন অংশে স্থানান্তরিত হয়।

৬.৬ কোষ থেকে কোষে পরিবহণে ব্যাপনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: পত্ররন্ধ্র বা লেন্টিসেল দ্বারা গৃহীত ব্যাপন পদ্ধতিতে একটি কোষে প্রবেশ করার পর সেখান থেকে ব্যাপন পদ্ধতিতে নির্গত হয়ে ক্রমান্বয়ে উদ্ভিদের অভ্যন্তরীণ কলাকোষে ছড়িয়ে পড়ে । সালােকসংশ্লেষের সময় গৃহিত CO2 কোষান্তর পরিবহণের মাধ্যমে সবুজ কোষে পৌঁছায় মৃত কোষ প্রাচীরের মধ্য দিয়ে ব্যাপন পদ্ধতিতে জল এক কোষ থেকে অপর কোষে স্থানান্তরিত হয়। এইভাবেই ব্যাপনের মাধ্যমে উদ্ভিদদেহে কোষ থেকে কোষে প্রয়ােজনীয় উপাদান পরিবাহিত হয়ে থাকে ।

৬.৭ একাইনােডার্মাটা পর্বের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা।

উত্তর: একাইনােডার্মাটা পর্বের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হল: 

(i) সামুদ্রিক প্রাণীগুলির দেহের বহির্দেশ চুননির্মিত কাঁটা দ্বারা আবৃত থাকায় এদের কণ্টকত্বক প্রাণী বলা হয়। 

(ii) দেহে সমদূরত্বে অবস্থিত পাঁচটি বাহুর তলায় সারি সারি গমনঅঙ্গ ‘নালীপদ থাকে। 

(iii) দেহে জলসংবহনতন্ত্র থাকে।

৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে

৭.১ মানবদেহে যকৃতের অবস্থান ও দুটি ভূমিকা উল্লেখ করাে। নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জাইলেম ও ফ্লোয়েমের পার্থক্য নিরূপণ করাে :

  • উপাদান
  • কাজ 

উত্তর: মানবদেহে যকৃতের অবস্থান মানবদেহের সর্ববৃহৎ এই গ্রন্থিটি মধ্যচ্ছদার ঠিক নিচে উদরগহ্বর এর উপরের দিকে এবং ডান দিকে অবস্থিত। 

মানবদেহে যকৃতের দুটি ভূমিকা :

1) পিত্ত নিঃসরণ করে ফ্যাট পরিপাকে সাহায্য করে।

2) বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিবডি গঠন করে এছাড়া বিভিন্ন প্রকার বিপাকে সাহায্য করে

বৈশিষ্ট্য জাইলেম ফ্লোয়েম
উপাদান মৃত ও সজীব কোষ উপাদান গুলি হল ট্রাকিড, ট্রাকিয়া, জাইলেম তন্তু (মৃত), প্যারেনকাইমা (সজীব) মৃত ও সজীব কোষ উপাদান গুলি হল সিভনল, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম উপাদান প্যারেনকাইমা (সজীব) এবং ফ্লোয়েম তন্তু (মৃত)
কাজ মূল থেকে পাতায় জল ও খাদ্য সঞ্চয় করা অঙ্গের করা খাদ্য সঞ্চয় করা অঙ্গের দৃঢ়তা প্রদান করা। তৈরি করা খাদ্য বস্তু কে উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করা খাদ্য সঞ্চয় করা অঙ্গের দৃঢ়তা প্রদান করা।

৭.২ “উদ্ভিদের দেহে কোনাে নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ থাকে না”— তাহলে উদ্ভিদ কীভাবে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে বলে তােমার মনে হয়? রক্ততঞন কীভাবে ঘটে ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: উদ্ভিদের দেহে নির্দিষ্ট কোনো রেচন অঙ্গ থাকে না । উদ্ভিদেরা নিম্নলিখিত উপায় রেচন পদার্থ ত্যাগ করে-

পত্রমোচন : বিভিন্ন পর্ণমোচী উদ্ভিদ যেমন শিরীষ , আমরা , শিমুল , সজনে ইত্যাদির পাতা বছরের নির্দিষ্ট ঋতুতে ঝরে পড়ে । এই ঝরে পড়া পাতার মধ্যে দিয়েই পাতায় সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে । অন্যান্য চিরহরিৎ উদ্ভিদরা সারা বছর ধরে অল্পবিস্তর পত্র মোচন দ্বারা রেচন পদার্থ ত্যাগ করে । 

বাকল মোচন : কিছু উদ্ভিদ যেমন পেয়ারা , অর্জুন প্রভৃতি গাছের ছাল বা বাকল মোচন এর মাধ্যমে তাদের ত্বকে সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে । 

ফল মোচন : তেতুল , আপেল , লেবু ইত্যাদি ফলে সঞ্চিত টারটারিক অ্যাসেটিক এর মত কিছু জৈব অ্যাসিড রেচন পদার্থ হিসেবে ত্যাগ করে মোচা এর তাদের ফল ঝরে পড়ার মাধ্যমে ।

 • রক্ত তঞ্চন এর বিভিন্ন পর্যায় : 

রক্ত তঞ্চন ঘটে থাকে মূলত তিনটি ধাপ : 

প্রথম ধাপ : আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে এবং ফেঁটে যাওয়া অনুচক্রিকা থেকে থ্রম্বোপ্লাস্টিন নিঃসৃত হয় । এই থ্রম্বোপ্লাস্টিন ক্যালসিয়াম আয়নের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রথ্রোমবিন নামক উৎসেচক গঠন করে । 

থ্রম্বোপ্লাস্টিন + Ca + → প্রথ্রোম্বিন

দ্বিতীয় ধাপঃ প্রথ্রোম্বিনেজ উৎসচক হেপারিনের ক্রিয়া বিনষ্ট করে এবং প্রথ্রোমবিনকে থ্রম্বিনে পরিণত করে । প্রথ্রোম্বিনকে ফ্যাক্টর এক্স বলা হয়। 

থ্রমবিন [ প্রথ্রমবিনেজ এর দ্বারা ]

তৃতীয় ধাপঃ থ্রোম্বিন ফাইব্রিনোজেন এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ফাইব্রিন গঠন করে । ফাইব্রিন জালক রক্তকণিকা গুলো আটকে যায় এবং জেলির মত তঞ্চিত রক্ত বা ক্লট গঠন করে ।

৭.৩ মানবদেহে মূত্র সৃষ্টিতে নেফ্রনের ভূমিকা আলােচনা করাে। মানবদেহে লসিকার দুটি ভূমিকা উল্লেখ করাে।

উত্তর: –  মূত্র সৃষ্টিতে নেফ্রনের ভূমিকা নিম্নে আলোচনা করা হলো – 

( i ) গ্লোমেরুলাসে রক্তের পরাপরিস্রাবণ : দেহের কলাকোষে উৎপন্ন রেচন পদার্থ রক্তের মাধ্যমেরক্কীয় ধমনী ও তার শাখা দ্বারা বাহিত হয়ে নেফ্রনে আসে | নেফ্রনের গ্লোমেরুলাস অংশে কার্যকরী পরিস্রাবণ চাপের প্রভাবে রক্তের পরাপরিস্রাবণ ঘটে এর ফলে রক্তকণিকা , প্রোটিন , ফ্যাট ছাড়া বিভিন্ন রেচনবস্তু , লবণ , শর্করা , জল ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বাওম্যানস ক্যাপসুলে আসে | এই পরিস্রুত তরলকে গ্লোমেরুলার পরিস্রুত বলা হয় | 

( ii ) বৃক্কীয় নালিকা দ্বারা পুনঃশোষণ : পরিস্রুত তরল বাওম্যানস ক্যাপসুল থেকে বৃক্কীয় নালিকায় প্রবেশ করে বৃক্কীয় নালিকার বিভিন্ন অংশের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় দেহের পক্ষে প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ যেমন , গ্লুকোজ ,অ্যামাইনো অ্যাসিড , লবণ ও অধিকাংশ জল এই পরিস্রুত থেকে পুনঃশোষিত হয়ে রক্তে ফিরে যায় | 

( iii ) বৃক্কীয় নালিকার ক্ষরণ : বৃক্কীয় নালিকার গাত্রসংলগ্ন কৌশগুলি H + আয়ন , K + আয়ন , অজৈব ফসফেট , সালফার ঘটিত বিভিন্ন যে যৌগ ক্ষরণ  করে এবং এগুলি বৃক্কীয় নালিকার তরলের সঙ্গে মিশে যায় |

( iv ) নতুন পদার্থ সৃষ্টি : বৃক্কীয় নালিকার এপিথেলিয়াম কোষগুলো অ্যামোনিয়া , হিপপিউরিক অ্যাসিড , বেঞ্জোয়িক অ্যাসিড ইত্যাদি সৃষ্টি করে বৃক্কীয় নালিকার তরলে মিশিয়ে দেয় | 

 এইভাবে রক্তের পরা পরিস্রাবণ , পুনংশোষণ এবং বৃক্কীয় নালিকার ক্ষরণ ও নতুন পদার্থ সৃষ্টির মাধ্যমে মুত্র উৎপাদিত হয়ে থাকে ।

* মানবদেহে লসিকার দুটি কাজ : 

( ১ ) কলারসের গঠন বজায় রাখে । কলারসে রক্ত থেকে আগত প্রোটিনের প্রধান অংশ লসিকা দ্বারা রক্তে ফিরে যায় , ফলে কলারসে প্রোটিনের ঘনত্ব বজায় থাকে l

( ২ ) লসিকায় অবস্থিত লিম্ফোসাইট কোষ কলাকোষে প্রবিষ্ট ব্যাকটেরিয়া বা অন্য অ্যান্টিজেন ধ্বংস করে ।

SEE THIS –

আপনি যদি এই সামগ্রীটি পছন্দ করেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে Facebook এবং WhatsApp-এ শেয়ার করুন৷

আমি আশা করি আপনি এই নিবন্ধে নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। আপনি যদি নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চান তবে আপনি মন্তব্য করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এখানে আমাদের দলের সদস্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাকে উত্তর দেবে। সমস্ত নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েব পৃষ্ঠা GovtJobCenter.In দেখুন।

Leave a Comment