Class 9 History Model Activity Task Part 8 Combined Answer | নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ 2023

Class 9 History Model Activity Task Part 8 Combined Answer  | নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮

Model Activity Task Class 9 Part 8 History With Answer : আপনি যদি একজন ছাত্র হন তবে আজকের নিবন্ধটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে কারণ আজকে আমরা এই পোস্টে বিনামূল্যে নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ নিয়ে এসেছি আপনি এই পোস্ট থেকে Class 9 History Model Activity Task Part 8 With Answer এবং নবম শ্রেণীর বিভিন্ন অধ্যয়ন সামগ্রী দেখতে এবং পড়তে পারবেন।

আপনি যদি নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ প্রশ্ন এবং উত্তর দেখতে এবং পড়তে চান তাহলে নিচের দিকে Scroll Down করুন। যা আপনার পথে আসা সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাজে লাগবে এবং যদি আপনি এই পৃষ্ঠাটি দরকারী বলে মনে করেন তবে এটি ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।

Class 9 History Model Activity Task Part 8 Overview

নীচে আপনি নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য পাবেন। নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ -এর অতিরিক্ত বিবরণের জন্য, নীচের টেবিলটি দেখুন।

Class 9
Subject History
Category Activity Task Class 9 Part 8 History
Official Website https://govtjobcenter.in
Join Telegram Group Click Here
Watch On YouTube Click Here
Class 9 History Model Activity Task Part 8 Combined Answer  | নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮

Class 9 History Model Activity Task Part 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮

ইতিহাস (পূর্ণমান ৫০)

নবম শ্রেণী

Class 9 History Model Activity Task Part 8 Solution :

১. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও

ক-স্তম্ভ খ-স্তম্ভ
১.১ ইয়ং ইতালি (ক) সাঁ সিমাে 
১.২ সেফটি ল্যাম্প (খ) জোসেফ ম্যাৎসিনি
১.৩ ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র (গ) বিসমার্ক
১.৪ রক্ত ও লৌহ নীতি (ঘ) হামফ্রি ডেভি

উত্তর: 

ক-স্তম্ভ খ-স্তম্ভ
১.১ ইয়ং ইতালি (খ) জোসেফ ম্যাৎসিনি
১.২ সেফটি ল্যাম্প (ঘ) হামফ্রি ডেভি
১.৩ ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র (ক) সাঁ সিমাে 
১.৪ রক্ত ও লৌহ নীতি (গ) বিসমার্ক
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে

২.১ ফ্রান্সে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে। 

উত্তর: সত্য

২.২ শিল্প বিপ্লবের সময় ইংল্যান্ড বিশ্বের কারখানা হিসাবে পরিচিতি পায়। 

উত্তর: সত্য

২.৩ হিটলারের ভাষায় ইতালি ছিল – “একটি ভৌগােলিক সংজ্ঞা মাত্র। 

উত্তর: মিথ্যা

২.৪ এড্রিয়ানােপলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে। 

উত্তর: সত্য

৩. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে

৩.১ ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন (চতুর্দশ লুই/পঞ্চদশ লুই/ষােড়শ লুই/নেপােলিয়ন)। 

উত্তর: ষােড়শ লুই

৩.২ ‘কাদিদ’ নামক গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন (রুশাে/ভলতেয়ার/মন্তেস্কু/দিদেরাে)। 

উত্তর: ভলতেয়ার

৩.৩ ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির যাদুঘর’বলে মন্তব্য করেছিলেন (নেপােলিয়ন/রােবসপিয়ের/মিরাবাে/অ্যাডাম স্মিথ)। 

উত্তর: অ্যাডাম স্মিথ

৩.৪ ১৮৬১ খ্রিঃ ‘মুক্তির ঘােষণাপত্র দ্বারা ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ হয়েছিল— (রাশিয়াতে/ফ্রান্সে/প্রশিয়াতে/অস্ট্রিয়াতে)। 

উত্তর: রাশিয়াতে

৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও

৪.১ কিারা ‘ইনটেনডেন্ট’ নামে পরিচিত ছিলেন ? 

উত্তর: ফ্রান্সে প্রাক – বিপ্লব সময়ে রাজস্ব আদায়কারী কর্মচারীরা ‘ ইনটেনডেন্ট ‘ নামে পরিচিত ছিল ।

৪.২ লিজিয়ন অব অনার’ কী? 

উত্তর: ‘ লিজিয়ন অব অনার ‘ হলো নেপোলিয়ন প্রবর্তিত এক বিশেষ সম্মান বা উপাধি ।

৪.৩ ‘অর্ডারস ইন কাউন্সিল’ কী? 

উত্তর: 1806 সালের নভেম্বরে নেপোলিয়ান বার্লিন ডিক্রি মহাদেশ থেকে ব্রিটিশ বানিজ্য বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল । ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত সার্বভৌমের জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে কাউন্সিলে জবাব দেয় । 1807 সালের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের আদেশে ব্রিটিশ বাণিজ্যকে বাদ দিয়ে যেকোনও বন্দরের অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছিল । যা ‘ অর্ডারস ইন কাউন্সিল ‘ নামে পরিচিত ছিল ।

৪.৪ রিসর্জিমেন্টো কী? 

উত্তর: কার্বোনারি সমিতির মাধ্যমে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটে এবং আন্দোলনের জন্ম হয় , যাকে বলা হয় রিসজিমেন্টো বা পুনর্জাগরণ বা নবজাগরণ । এর মাধ্যমে ইতালির জনগণ তাদের অতীত ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে ।

৪.৫ ‘ঘেটো’ কাকে বলা হত?

উত্তর: ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের সময় শ্রমিকরা কারখানার সন্নিকটে নোংরা ও ঘিঞ্জি এলাকায় বাধ্য হয়ে বাস করতো । তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে । সমাজে এরা ছিল অবহেলিত , বঞ্চিত ও নিপীড়িত । এই সকল দরিদ্র শ্রমিকদের বসবাসের স্থানকে বলা হয় ঘেটো ।

৫. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও

৫.১ কাকে ‘মুক্তিদাতা জার’ বলা হয় এবং কেন? 

উত্তর:  জার দ্বিতীয় আলেকজাণ্ডার যুগ যুগ ধরে নিপীড়িত ভূমিদাসদের দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তি দেবার জন্য মুক্তিদাতা জার নামে পরিচিত । সিংহাসনে আরোহনের পর জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো ভুমিদাস প্রথার উচছেদ । রাশিয়ার ইতিহাসে এটা তার এক অক্ষয় কীর্তি । ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদের জন্য জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা জার বলা হয় ।

1 ) ভুমিদাস প্রথা বিলোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ – জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার সিংহাসনে আরোহণ করে অনুধাবন করলেন যে , রাশিয়ার পিছিয়ে পড়ার পিছনে একমাত্র ভুমিদাস প্রথাই দায়ী । রাশিয়ার আইন অনুসারে ভুমিদাসগণ ছিল মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি । মালিকেরা তাদের নিলামে বিক্রয় অথবা শারীরিক পীড়ণ করলে রাষ্ট্র তাদের বাধা দিত না । ভুমিদাসরা বংশানুক্রমে ভুমিদাসের কাজ কর ।

2 ) আলেকজান্ডার কর্তৃক ভুমিদাস প্রথা বিলোপের ঘোণাপত্রঃ- 1861 সালের 19 ই ফ্রেবুয়ারী মুক্তির ঘোষণা দ্বারা জঘন্য দাসপ্রথার উচ্ছেদ সাধন করেন । এ ঘোষণা অনুযায়ী  

i ) ভুমিদাসরা দাসত্ব থেকে মুক্তি পায় 

ii ) ভুমিদাসরা নাগরিক অধিকার লাভ করে

iii ) জমিদারদের ভুমির একাংশ ভূমিদাসরা পায় ও কৃষরা জীবীকা নির্বাহের সুযোগ পায় । 

iv ) জমিদাররা জমির জন্য ক্ষতিপুরণ সরকারের কাছ থেকে পায় ।

v ) কৃষকেরা 4 বছরের কিস্তিতে এ অর্থ সরকারকে পরিশোধ করবে ।

৫.২ টীকা লেখাে : কোড ‘নেপােলিয়ন’ 

উত্তর:  ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ বা আইনবিধির প্রবর্তন । তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানাস্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক পরস্পর বিরোধী আইন প্রচলিত ছিল । নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে একধরনের ব্যবস্থা চালু করে । ফ্রান্সের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে 4 জন বিশিষ্ট আইনজীবীর পরিষদ গঠন করেন । এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আইন – বিধি সংকলিত হয় , যা ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ নামে খ্যাত ।

কোড নেপোলিয়ন এর গুরুত্ব : 

i ) একই আইন প্রবর্তন : কোড নেপোলিয়নের সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন ব্যবস্থা চালু করেন । ফলে ফরাসির প্রশাসন একটি সুস্থিত রূপ লাভ করে ।

ii ) বিপ্লবের আদর্শকে রক্ষা : ফরাসি বিপ্লবের সময় যে সমস্ত ঘোষণা ও আইনগত ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল , সেগুলি একটি আইনগ্রন্থে সংকলিত হয় । এইভাবে কোড নেপোলিয়ন এর প্রবর্তন বিপ্লবী আদর্শ রক্ষিত হয়েছিল ।

iii ) ফরাসি সমাজের বাইবেল হিসেবে 

স্বীকৃতি : ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ ফ্রান্সের বুর্জোয়া শ্রেণি অধিকাংশ মানুষকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল । এইভাবে ফরাসি সমাজের বাইবেল পরিণত হয় ।

উপসংহার : এইভাবে ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ -এর মাধ্যমে নেপোলিয়ন ও বিপ্লবের আদর্শগুলিকে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন । এই আইন সংহিতা কেবল ফ্রেন্সই নয় , ফ্রান্সের সীমানা ছাড়িয়ে ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছিল । এই আইনের মাধ্যমে সকল মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হলেও , এ বিষয়ে যে আন্তরিক প্রয়াস লক্ষ্য করা গিয়েছিল তা বিশেষভাবে উল্লেখ এর দাবি রাখে ।

৫.৩ হিটলারের উত্থানের পশ্চাতে কোন কারণগুলি ছিল?

উত্তর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধেৱ শেষে জার্মানিতে ‘সােশ্যালিস্ট রিপাবলিকান দল রাজতন্ত্রের পরিবর্তে প্ৰজাতান্ত্রিক সরকাৱ (ভাইমার প্ৰজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে (৯ নভেম্বর, ১৯১৮ খ্রি.)। এই সরকারের আমলেই হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি দল জার্মানিতে ক্ষমতা দখল করে।

1. ভাইমার প্রজাতন্ত্রের ব্যর্থতার সুবাদে : ভাই প্রজাতান্ত্রিক সরকার মিত্রপক্ষের ভার্সাই চুক্তির অপমান শর্তগুলি মেনে নেয় এবং ৬৬০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়। সরকারের এই আপসরফাকে হিটলার চরম ব্যর্থতা বলে প্রচার করে তার নাৎসি দলের উত্থানের পথ প্রস্তুত করেন।

2. আর্থিক সংকটের সুযােগে: ভার্সাই সন্ধির শর্তানুযায়ী যুদ্ধজনিত কারণে জার্মানির ওপর এক বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণের বােঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের এই বিশাল অর্থের জোগানের লক্ষ্যে জার্মানিতে ভাইমার প্রজাতান্ত্রিক সরকার করের হার বাড়ায়। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায়, যার পরিণামে জার্মানবাসী জেরবার হয়ে পড়ে। এই আর্থিক সংকট মােচনের আশ্বাস দিয়ে হিটলারের নাৎসি দল জার্মানিতে ক্ষমতা দখল করে।

3. রাজনৈতিক অস্থিরতা কাজে লাগিয়ে: ভাইমার প্রজাতন্ত্রের আমলে জার্মানিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১৯১৯-১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জার্মানিতে মােট ১৫টি মন্ত্রিসভা ক্ষমতায় আসে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আশ্বাস দিয়ে জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি দল ক্ষমতা দখল করে।

৫.৪ ‘এমস টেলিগ্রাম’ কী? 

উত্তর: প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়ম (William) এমস (Ems) নামক স্থান থেকে তার প্রধানমন্ত্রী বিসমাককে টেলিগ্রামের মাধ্যমে একটি খবর পাঠান (13 জুলাই, 1870 খ্রি.)। এর বিষয় ছিল ফরাসি দূত বেনেদিতি-র (Benedetti) সঙ্গে রাজা প্রথম উইলিয়মের আলােচনার সারসংক্ষেপ। এটি ইতিহাসে | এমস টেলিগ্রাম’ (Ems Telegram) নামে খ্যাত। এর ফলে ফ্রান্সের সঙ্গে প্রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং জার্মানির ঐক্য সম্পূর্ণ হয়েছিল। 

এমস টেলিগ্রামের পটভূমি: একটি বহির্দেশীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমস টেলিগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল। 

ঘটনাটি হল—

স্পেনের সিংহাসন নিয়ে বিরােধঃ- স্পেনের রানি ইসাবেলা (Isabella)-র বিরুদ্ধে স্পেনে বিদ্রোহশুরু হয় এবং রানি সিংহাসনচ্যুত হন (1868 খ্রি.)।এই সময় স্পেনীয়রা প্রাশিয়ার হােহেনজোলার্ন (Hohenzollern) রাজবংশের প্রিন্স লিওপােল্ড(Leopold)-কে স্পেনের রাজা হওয়ার জন্য অনুরােধ করে। লিওপােল্ড ছিলেন প্রাশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনির পুত্র।

এমস টেলিগ্রামের ফলাফল : 

প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের যুদ্ধ ঘোষণাঃ এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ফরাসি জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে । ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন এই অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ষণা করেন ( 15 জুলাই , 1870 খ্রি .)। 

ফ্রান্স – প্রাশিয় যুদ্ধঃ অপ্রস্তুত ফ্রান্স হঠাৎ যুদ্ধ ঘোষণা করায় প্রাশিয়ার কাছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় । ফ্রাঙ্কফোর্ট সন্ধি ( 10 মে , 1871 খ্রি . ) – এর মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান ঘটে ।

৬. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :

জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিসমার্কের ভূমিকার উল্লেখ করাে।

উত্তর: বিসমার্ক বুঝেছিলেন একমাত্র প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। সে কারণে তিনি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন।

রক্ত ও লৌহ নীতিঃ- অটো ফন বিসমার্ক ছিলেন একজন সুশিক্ষিত তীক্ষন বুদ্ধি সম্পন্ন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন তিনি রক্ষণশীল অদম্য ইচ্ছা শক্তির অধিকারী। বিসমার্ক বুঝেছিলেন একমাত্র প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। সেই কারণেই তিনি 1862 খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহণ করেন। প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিসমার্ক জার্মানির ঐক্য সাধনের জন্য যে নীতিটি প্রয়ােগ করেন তা লৌহ ও রক্ত’ নীতি নামে পরিচিত। এই নীতির মূল কথা হল উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রয়ােজনে বল প্রয়ােগ করতে হবে। বিসমার্ক মনে করতেন একমাত্র যুদ্ধের মাধ্যমেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব এই জন্য তিনি অল্প সময়ের মধ্যে প্রাশিয়ার বাহিনীকে ইউরােপের অন্যতম সেরা বাহিনীতে পরিণত করেন। প্রাশিয়ার আইন সভায় তিনি ঘােষণা করেন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বক্তৃতা বা ভােটের দ্বারা হবে না, তা করতে হবে রক্ত ও লৌহ নীতি দিয়ে।

ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ : বিসমার্কের সময় যুদ্ধের পুনরুদ্ধারের জন্য বিসমার্ক অস্ট্রিয়াকে সঙ্গে নিয়ে 1864 খ্রিষ্টাব্দে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং ডেনমার্ক পরাজিত হয়। গ্যাস্টিনের সন্ধি দ্বারা প্রাশিয়া পায় শ্লেজউইগ ও অস্ট্রিয়া পায় হলস্টেন।

অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ : গ্যাস্টিনের সন্ধি এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে শীঘ্রই অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। সেজন্য বিসমার্ক আগাম প্রস্তুত ছিলেন। 1866 খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়া স্যাডােয়ার যুদ্ধে অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে। ফলে উত্তর ও মধ্য জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ায় প্রাধান্য দূর হয়।

ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ : এরপর দক্ষিণ জার্মানি থেকে ফ্রান্সের প্রাধান্য দূর করার জন্য বিসমার্ক 1870 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। সেডানের যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়ে জার্মানি ত্যাগ করে।

মুল্যায়ন : এইভাবে বিসমার্কের ইতিবাচক নেতৃত্বে জার্মানির রাষ্ট্রীয় ঐক্য সম্পন্ন হয় । এই নবগঠিত জার্মানির রাজা হন প্রথম উইলিয়াম ।

SEE THIS –

আপনি যদি এই সামগ্রীটি পছন্দ করেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে Facebook এবং WhatsApp-এ শেয়ার করুন৷

আমি আশা করি আপনি এই নিবন্ধে নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ -এর প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। আপনি যদি নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ -এর প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চান তবে আপনি মন্তব্য করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এখানে আমাদের দলের সদস্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাকে উত্তর দেবে। সমস্ত Class 9 History Model Activity Task Part 8 Combined Answer সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েব পৃষ্ঠা GovtJobCenter.In দেখুন।

Leave a Comment