Class 6 Bengali Model Activity Task February | ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2023

Class 6 Bengali Model Activity Task February  | ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২

Class 6 Bengali Model Activity Task Combined Answers: আপনি যদি একজন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র হন তবে আজকের নিবন্ধটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে কারণ আজকে আমরা এই পোস্টে বিনামূল্যে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নিয়ে এসেছি আপনি এই পোস্ট থেকে Class 6 Bengali Model Activity Task এবং বিভিন্ন অধ্যয়ন সামগ্রী দেখতে এবং পড়তে পারবেন।

Class 6 Bengali Model Activity Task Overview

নীচে আপনি Model Activity Task Class 6 Bengali -এর সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য পাবেন। ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক -এর অতিরিক্ত বিবরণের জন্য, নীচের টেবিলটি দেখুন।

Class6
SubjectBengali
CategoryActivity Task Cass 6 Bengali
Official Websitehttps://govtjobcenter.in
Join Telegram GroupClick Here
Watch On YouTubeClick Here

Model Activity Task Part 2, February

বাংলা (Bengali)

ষষ্ঠ শ্রেণী (Class 6th)

পূর্ণমান – ২০

Class 6 Bengali Model Activity Task February Part 2 Solution

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১ × ৩ = ৩

১.১ শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম 

(ক) ১৯৩৩ সালে

(খ) ১৯৪৭ সালে 

(গ) ১৯৬১ সালে

(ঘ) ১৯৬৯ সালে 

উত্তর: (ক) ১৯৩৩ সালে

১.২ মাস্টারমশাই বিভীষণ দাশ যে পাখির কথা বলছিলেন— 

(ক) শঙ্খচিল

(খ) এমু 

(গ) বাজ

(ঘ) বক

উত্তর: (খ) এমু

১.৩ শংকরের স্বপ্নে দেখা এমুপাখি যে গাছের ডালে এসে বসেছিল— 

(ক) নারকেল

(খ) সুপুরি 

(গ) সবেদা

(ঘ) তাল 

উত্তর: (গ) সবেদা

Class 6 Bengali Model Activity Task February Part 2 Solution

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩

২.১ অভিমন্যু সেনাপতি কে? 

উত্তর: শঙ্করের বাবা হলেন অভিমুন্য সেনাপতি।

২.২ শংকর কোন্ স্কুলে পড়ে? 

উত্তর: শংকর আকন্দ বাড়ি স্কুলে পড়ে।

২.৩ ‘বলি এটা কি পঞ্চানন অপেরা পেয়েছ?’—কে একথা বলেছেন?

উত্তর: সেনাপতি শংকর গল্পে শিক্ষক বিভীষণ দাস শংকরকে একথা বলেছে। 

Class 6 Bengali Model Activity Task February Part 2 Solution

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩x৩=৯

৩.১ ‘চমকে উঠল ছেলেটি।’—কে চমকে উঠেছে? তার চমকে ওঠার কারণ কী? 

উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি আমাদের পাঠ্য  শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘সেনাপতি শংকর’ গল্পের অংশ এখানে শংকর চমকে উঠেছে ।

  তার চমকে ওঠার কারণ হলো আকন্দবাড়ী স্কুলের প্রথম শ্রেণীর প্রকৃতি বিজ্ঞানের ক্লাসে বিভীষণ দাস মাস্টার মশাই যখন ইমু পাখির কথা বর্ণনা করেছিলেন তখন শংকর স্কুল বাড়ির জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আনমনা হয়ে পড়েছিল । সে দেখেছিল নারকেল গাছের মাথার উপর দিয়ে ডানা মেলে শঙ্খচিল ভাসছে । তখন সে রাতে স্বপ্নের কথা মনে করেছিল যে সে এমন ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছিল । ডানার বদলে দুহাতে বাতাস কেটে যেন শঙ্খচিল দলের মতো এগিয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় বিভীষণ দাশ মাস্টারমশাই এর চিৎকারে শংকর চমকে উঠেছিল ।

৩.২ ‘সারা ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়ল।—সকলে হেসে উঠেছিল কেন? 

উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি আমাদের পাঠ্য শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘সেনাপতি শংকর’ গল্পের অংশ । প্রকৃতি বিজ্ঞানের ক্লাসে শংকর আনমনা থাকায় মাস্টারমশাই বিভীষণ দাস তাকে ধমক দিয়ে বলেন যে তিনি কী পড়াচ্ছেন ? সেটা শংকর জানে কিনা ? এ প্রশ্নের উত্তরে বলে যে তিনি এমু পাখির কথা পড়াচ্ছেন তখন মাস্টার মশাই তাকে জানতে চাই সে কোনদিন এমু পাখি দেখেছে কিনা এর উত্তরে সম্মতি জানিয়ে বলে যে সে ঘোলপুকুরের বড় দীঘির পাড়ে সবেদা গাছের ডালে এমু পাখি কে বসতে দেখেছে। একথা শুনে সারা ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়েছিল ।

৩.৩ বিভীষণ মাস্টারমশাই পাখি দেখার জন্য কোন্ কোন্ সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন?

উত্তর: বিভীষণ মাস্টারমশাই পাখি দেখার জন্য যে যে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেছে সেগুলি হল সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে হবে, জামা কাপড়ের রং শুকনো পাতার রং বা জলপাই রঙের হলে ভালো। কারণ এই রং গাছের পাতা সঙ্গে মিশে থাকে, বেগুনি রঙের জামা পড়লে খুবই ভালো কারণ পাখি কোন রং দেখতে পায় না।

Class 6 Bengali Model Activity Task February Part 2 Solution

৪.নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : 

‘শংকরের বুকটা গর্বে ফুলে উঠল। — শংকরের গর্বিত হওয়ার কারণ ‘শংকর সেনাপতি রচনাংশ অনুসরণে বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত শংকর সেনাপতি গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে । এখানে পাখি দেখার জন্য শিক্ষকের উপদেশ অনুযায়ী সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে হবে জামা কাপড়ের রং শুকনো পাতার রং বা জলপাই রঙের হলে ভালো কারণ এই রং গাছের পাতার পাতার সঙ্গে মিশে থাকে বেগুনি রঙের জামা পরলে খুবই ভালো কারণ পাখি বেগুনি রং দেখতে পায় না । বিভীষণ মাস্টারমশাই শংকর কে বলেছিলেন গাছে গাছে ঘোড়ার কথা অনেক পাখি দেখার কথা, বলেছিলেন যত পারবে চোখ খোলা রেখে এই পৃথিবীর সব পাখি, গাছপালা দেখতে, এটা শুনে শঙ্করের বুকটা গর্বে ফুলে উঠেছিল ।

MODEL ACTIVITY TASK CLASS 6 PART 5

বিষয় – বাংলা
ষষ্ঠ শ্রেণি
নীচের  প্রশ্নগুলির  উত্তর  দাও :

১. ধানকাটার  পর  একেবারে  আলাদা  দৃশ্য। –  ‘মরশুমের  দিনে’  গদ্যাংশ  অনুসরণে  সেই  দৃশ্য  বর্ণনা করো

উত্তর- ধান  কাটার  পর  মাঠে  যতদূর  দৃষ্টি  যায়,  চোখে  পড়ে  রুক্ষ  মাটির  শুকনো  ও  কঙ্কালসার চেহারা এবং তারসাথে আলগুলি  বুকের  পাঁজরের  মতো চেহারা।  রোদের  দিকে  তাকানো  যায়  না।  গোরুর গাড়ির  চাকায়,  মানুষের  পায়ে  মাটির ডেলা  গুঁড়ো  হয়ে  রাস্তা  হয়েছে  আর  সেই  ধুলো  কখনও ঘূর্ণিঝড়ে  বা  দমকা  হাওয়ায়  উড়ে  এসে  চোখে-মুখে  ভরে  যায়। বেলা  বাড়তেই  মাটি  গরম  হয়ে  ওঠে। যারা  মাঠে  যায়,  তারা  তাড়াতাড়ি  বাড়ি  ফেরে।  পুকুর,  নদী,  খাল,  বিল  শুকিয়ে  যায়। গাছে  পাতা  থাকে না।  আগুনের  হলকায়  চারিদিকে  হাহাকার  শোনা  যায়।  রাখালেরা  ছড়ি-পাঁচন  হাতে  বট  অশ্বত্থ,  আম-কাঁঠালের  ছায়ায়  ঘোরে,  যেখানে  হাতের  কাছে  একটু  জল  পাওয়া  যায়।

২.  দিন  ও  রাতের  পটভূমিতে  হাটের  চিত্র  ‘হাট’  কবিতায়  কীভাবে  বিবৃত  হয়েছে  তা  আলোচনা  করো।

উত্তর – কবি  যতীন্দ্রনাথ  সেনগুপ্তের  ‘হাট’  কবিতায়  দূরে  দূরে  ছড়ানো  দশ-বারোখানি   গ্রামের  কেন্দ্রে অবস্থিত  একটি  হাটের ছবি  ফুটে  উঠেছে।

সারাদিন  এই  হাট  অগুনতি  মানুষের  কোলাহলে  মুখরিত  থাকে,  পণ্যসামগ্রী  কেনা  ও  বেচা  নিয়ে নিরন্তর  দরাদরি  চলে। নদীর  এক  পারের  মানুষ  অন্য  পারে  বেচার  জন্যে  জিনিস  নিয়ে  এলে খরিদ্দারেরা  তাকে  ঘিরে  ধরে।  সকলেই  যাচাই  করে নিতে  চায়।  তাদের  হাতের  ছোঁয়ায়  সকালে  গাছ থেকে  পাড়া  ফল  বিকেলে  মলিন  হয়ে  যায়।

হাটে  প্রভাতে  যেমন  ঝাঁট  পড়ে  না,  তেমনই  সন্ধ্যায়  প্রদীপ  জ্বলে  না।  বেচাকেনা  সেরে  বিকেলবেলায় যখন  সকলে  ঘরে ফিরে  যায়,  তখন  বকের  পাখা  সঞ্চালনের  সঙ্গে  প্রকৃতির  বুকে  নেমে  আসে  নিবিড় অন্ধকার।

. ‘মাটির  ঘরে  দেয়ালচিত্র’  রচনায়  সাঁওতালি  দেয়ালচিত্রের  বিশিষ্টতা  কীভাবে  ফুটে  উঠেছে ?

উত্তর- মূলত  আদিবাসী  সমাজেই  দেয়ালচিত্র  অঙ্কনের  চল  আছে।  দেয়ালচিত্রের  বৈশিষ্ট্যগুলি  নিম্নরূপ – (১)  মেয়েরা  এই চিত্র  অঙ্কন  করে  (২)  বিষয়বস্তু  নির্বাচন  ও  উপাদান  সংগ্রহ  তারাই  করে  (৩) দেয়ালচিত্রগুলি  অস্থায়ী।  (৪) আশ্বিনের দুর্গাপূজা  ও  কার্তিকের  অমাবস্যা  উপলক্ষ্য  করে  দেয়ালচিত্র আঁকা  হয়  (৫) লালচে  গিরিমাটি  বা  কখনও  দুধেমাটি  উপকরণ হিসেবে  ব্যবহৃত  হয়   (৬)  বিচিত্র বর্ণের  সমাবেশ  লক্ষ  করা  যায়  (৭) দেয়ালচিত্র  সর্বদা  প্রকাশ্য  স্থানে  অঙ্কন  করা  হয় (৮) লতাপাতা, ফুল,  পাখি  এসব  দেয়ালচিত্রে  উপস্থাপিত  হয়।

. ‘পিঁপড়ে’  কবিতায়  পতঙ্গটির  প্রতি  কবির  গভীর  ভালোবাসার  প্রকাশ  ঘটেছে।’ — আলোচনা  করো।

উত্তর-  ‘পিঁপড়ে’কবিতায়  কবি  পিঁপড়েকে  সহানুভূতির  চোখে  দেখেছেন।  তিনি  প্রথমেই  বলেছেন, ‘আহা  পিঁপড়ে  ছোটো পিঁপড়ে।  এই ‘আহা, ‘ছোটো’কথাগুলি  থেকে  বোঝা  যায়,  পিঁপড়ের  প্রতি  তাঁর ভালোবাসা  অভ্যস্ত  গভীর।  শুধু  তাই  নয়,  এই পিঁপড়ে  আপন  মনে  চারিদিকে  ‘ঘুরুক, ‘দেখুক  এই কথাগুলির  মাধ্যমেও  পিঁপড়ের  প্রতি  কবির  গভীর  দরদ  প্রকাশ  পায়। সাধারণত  লোকে  যেখানে  এই তুচ্ছ  পিঁপড়েকে  পায়ে  মাড়িয়ে  চলে  কিংবা  নানা  ওষুধ  দিয়ে  মেরে  ফেলে,  কবি  সেখানে পিঁপড়ের প্রতি  এতটুকু  বিরূপ  মনোভাব  প্রকাশ  না  করে  আদর-ভালোবাসার  চোখে  তাদের  বর্ণনা  করেছেন।

৫. ‘ফাকি’গল্পের  অন্যতম  প্রধান  চরিত্র  একটি  নিরীহ,  নিরপরাধ  আমগাছ।’—  উদ্ধৃতিটি  কতদূর সমর্থনযোগ্য ?

উত্তর – লেখক  রাজকিশোর  পট্টনায়কের  লেখা  ‘ফাঁকি’  গল্পের  কেন্দ্রবিন্দু  এটি  আম  গাছ।  গোপালের বাবার  তৈরি  একটি কলমি  আমগাছের  চারা  গাছটি  বসানোর  পর  ধীরে  ধীরে  নিজের  চেষ্টায়  তা  বেড়ে উঠেছিল  এবং  বিশাল  জায়গা  জুড়ে  তার আভিজাত্য  বিস্তার  করেছিল।  বাড়ির  লোকজন  যেমন প্রতিমুহূর্তে  তার  দেখাশোনা  করত  তেমন  পাড়ার  লোক  বা  ছেলেরাও তার  নীচে  খেলাধুলো, গল্প করা, বই পড়া,  দোল  খাওয়া  আরম্ভ  করেছিল।  গাছের  পাতা,  ডাল  নিত্যকার  কাজের  জিনিস  হয়ে উঠেছিল। এইভাবে  বিরাট  আকারের  এই  গাছটি  গোপালের  বাড়ির  নিশানায়  পরিণত  হয়।  বাড়ির  হাঁদা  ছেলেকে যেমন সবাই আদর  করে  গায়ে  হাত  বোলায়,  তেমনই  গাছটির  ফল  ও  গাছের  গায়ে  পাতায়  হাত বুলিয়ে  বাড়ির  অন্যরা  যেন  তার  সঙ্গে একাত্ম  হয়ে  গিয়েছিল।

একদিন  আষাঢ়ের  ঝড়ে  গাছটি  মারা  গেলে  শুধু  গোপালদের  বাড়ির  লোকই  নয়,  পাড়ার  সব  লোক দুঃখ  প্রকাশ  করে। পরে  সবাই  অবাক  বিস্ময়ে  দেখে  গাছের  একধার  উইয়ে  খেয়ে  নিয়েছিল।  গাছটি এত  করা  সত্ত্বেও  তার  একধার  উইয়ে খেয়ে  নিয়েছিল  তা  কারো  নজরে  পড়েনি । আর  যদি  পড়তো  তা হলে  গাছটি  এইভাবে  মারা  যেত  না  তাই  আমাগাছটিকে নিরীহ,  নিরপরাধ  বলা  সমর্থণযোগ্য।

৬. পৃথিবী  সবারই  হোক।’—  এই  আশীবাণী  আশীর্বাদ’গল্পে  কীভাবে  ধ্বনিত  হয়েছে ?

উত্তর- দক্ষিণারঞ্জন  মিত্রমজুমদারের  ‘আশীর্বাদ’  গল্পে  উক্ত  কথাটির  বক্তা  হল পাতা।  পিঁপড়েকে  দিনের  শেষে  মাটির  নীচে আশ্রয়  নিতে  হয়  বলে  সে  বলেছিল  মাটি  তাদের  কিন্তু  পাতা  বুঝিয়ে দিয়েছিল  যে,  মাটি  সকলের।  পাতার  এই  কথার  মধ্য দিয়ে  পৃথিবীতে  জীবজগতের  প্রতিটি  প্রাণীর অধিকার  প্রতিষ্ঠা  পেয়েছে।  এই  পৃথিবীর  আলো  বাতাস,  জল,  মাটিকে  ভোগ করার  অধিকার  সকলেরই  সমান।  ব্যাপকতর  অর্থে  এই  সত্যটিই  প্রকাশিত  হয়েছে  উদ্ধৃটিতে।

৭. “ছোট্ট  গাড়ির  মধ্যে  যতটা  আরাম  করে  বসা  যায়  বসেছি। –  এর  পরবর্তী  ঘটনাক্রম  ‘এক  ভূতুড়ে কাণ্ড’গল্প  অনুসরণে  লেখো।

উত্তর – ‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড’ গল্পে  আমরা  দেখতে  পাই  যে  নির্জন  জায়গায়  সাইকেলের  টায়ার  ফেঁসে লেখক  চরম  বিপদে পড়েন।  প্রথমে  একটি  লরি  আসে  কিন্তু  সেটি  লেখককে  উদ্ধার  করে  না। তারপর  একটি  ধীর  গতির  বেবি  অস্টিন মোটরগাড়ি  আসে।  লেখক  মরিয়া  হয়ে  চলন্ত  গাড়িতেই  উঠে পড়েন।  গাড়িতে  উঠে  তিনি  দেখেন  যে,  গাড়ি  চলছে  কিন্তু তার  ড্রাইভার  নেই আর সাথে  ইঞ্জিনও  চালু  নেই।  লেখক  প্রথমে  ভূতের  ভয়ে  চমকে  ওঠেন।  ধীরে  ধীরে  সংবিৎ  ফেরে  তাঁর গাড়ির  সিটের আরাম  লেখকের  আলসাকে  জাগিয়ে  দেয়।  তাই  প্রথমে  চোখ  ঠিকরে  বেরিয়ে  আসতে  চাইলেও, শার্টের কলার গলার  চারধারে  চেপে  বসলেও  শেষপর্যন্ত  আলস্যই  জয়ী  হয়।  প্রথমে  লেখকের  জিভ টাকরায়  আটকে  গেলেও  পরে  তিনি বাক  শক্তি  ফিরে  পান।  লেখকও  ভুতুড়ে  গাড়ি  থেকে  নামলেন  না  আর  ড্রাইভারহীন  গাড়ি  যেমন  চলছিল  তেমনি  চলতে লাগল।

৮. ‘এক  যে  ছিল  ছোট্ট  হলুদ  বাঘ’—  ‘বাঘ’কবিতা  অনুসরণে  তার  কীর্তিকলাপের  পরিচয়  দাও।

উত্তর- নবনীতা  দেবসেনের  ‘বাঘ’  কবিতায়  একটি  ছোট্ট  বাঘের  রাগ,  দুঃখ  ও  নানা  কর্মকাণ্ডের  পরিচয় পাওয়া  যায়।  বাবা-মায়ের  সঙ্গে  সে  থাকত  পাখিরালয়ে।  সেখানে  শুধুই  পাখি  ছিল।  ছাগল,  ভেড়া, হরিণ  কিছুই  নেই। বাঘটি  থাবে  কী ?  খিদের চোটে  তার  মনে  রাগ  জমে  ওঠে।  জমে  ওঠে অসন্তোষও।  এরকম  জায়গায়  কেউ  ডেরা  বাঁধে ?  তবুও  পেটেও  জ্বালায় পাখি ধরতেই  সে  লাফ  দেয়। পাখিরা  উড়ে  পালায়।  তাতে  সে  আরও  রেগে  যায়।

খিদে  মেটানোর  জন্য  সে  নদীর  ধারে  যায়  কাঁকড়া  ধরতে।  জানত  না  যে  দাঁড়া  দিয়ে  কাঁকড়া  চিমটে ধরে।  বাঘছানা  গর্তে থাবা  ঢোকাতেই  কাঁকড়া  তার  দাঁড়া  দিয়ে  থাবা  চিমটে  ধরে।  যন্ত্রণায়  কেঁদে  ওঠে সে।  তার  বাবা  এসে  তাকে  বিপদ  থেকে মুক্ত  করে।  এরপর  সে  আবার  মাছ  ধরতে  যায়  জলকাদায়। এ  কাজ  বাঘের  পক্ষে  বেমানান।  ভোঁদড়েরা  একাজ  করে। বাঘের  মা  সে-কথা  বলেও  দেয়।  এতেও মনে  কষ্ট  পায়  বাঘছানা।  একদিকে  খাবারের  অভাব  অন্যদিকে  মনের  কষ্ট,  রাগ  সব  কিছু  প্রকাশ হয়েছে  কবিতাটিতে।  পেটের  খিদে  আর  মনের  কষ্ট  বাঘছানাকে  নানা  কাজে  লিপ্ত  হতে  চালিত করেছে।

SEE THIS –

আপনি যদি এই সামগ্রীটি পছন্দ করেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে Facebook এবং WhatsApp-এ শেয়ার করুন৷

আমি আশা করি আপনি এই নিবন্ধে Class 6 Bengali Model Activity Task -এর প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। আপনি যদি Class 6 Bengali Model Activity Task -এর প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চান তবে আপনি মন্তব্য করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এখানে আমাদের দলের সদস্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাকে উত্তর দেবে। সমস্ত ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েব পৃষ্ঠা GovtJobCenter.In দেখুন।

Leave a Comment